১২দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মারা গেলেন ভারতের সবচেয়ে প্রবীণ টেস্ট ক্রিকেটার দত্তজিরাও কৃষ্ণারাও গায়কোয়াড়।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে তাঁর (গায়কোয়াড়) মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়ের বাবা হচ্ছেন দত্তজিরাও গায়কোয়াড়। ১৯৫২ থেকে ১৯৬১, ৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গায়কোয়াড় খেলেছেন ১১ টেস্ট। টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সর্বশেষ টেস্ট খেলেন চেন্নাইতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৬১ সালে।
ভারতের হয়ে যাঁরা টেস্ট খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকার রেকর্ডটা দত্ত গায়কোয়াড়েরই। বয়সের রেকর্ডে পেছনে ফেলেছিলেন এমজে গোপালনকে। ১৯৩৪ সালে ভারতের হয়ে একটি টেস্ট খেলা গোপালন ২০০৩ সালে ৯৪ বছর ১৯৮ দিন বয়সে মারা যান। দত্ত গায়কোয়াড় মারা যাওয়ায় পর এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার সিডি গোপিনাথ।
এদিকে গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে বিবৃতিতে বিসিসিআই লিখেছে, ‘ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ভারতের বয়স্ক টেস্ট ক্রিকেটার দত্তজিরাও গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে বিসিসিআই গভীরভাবে শোকাহত। তিনি তার ক্যারিয়ারে ১১ টেস্ট খেলেছেন এবং ১৯৫৯ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে বরোদা ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল ফাইনালে সার্ভিসেস দলকে হারিয়ে। গায়কোয়াড়ের পরিবার, বন্ধুদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা জানাচ্ছে বোর্ড।’
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি লিখেন, ‘মতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বটগাছের ছায়া, তাঁর নীল মারুতি গাড়ি থেকে ভারতীয় অধিনায়ক ডি. কে গায়কোয়াড় বরোদা ক্রিকেটারদের তরুণদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য দলটা তৈরি করেছেন। তার অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই বোধ করবে। ক্রিকেটের জন্য বিশাল ক্ষতি।’
১১ টেস্টে ১৮.৪২ গড়ে ৩৫০ রান-সাদামাটা টেস্ট ক্যারিয়ারই ছিল তার। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে বরোদাকে রঞ্জি ট্রফি জেতানো অধিনায়ক ফাইনালে সার্ভিসেস দলের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ১৩২ রান করেন। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭টি সেঞ্চুরিতে ৫৭৮৮ রান করেছেন তিনি।