সিলেট টেস্টের দাপুটে জয়ের পর, হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে এসে টাইগারদের এমন বিদ্ধস্ত হওয়াটা হয়তো আশা করেননি দর্শকরা। তবে এমনটাই হয়েছে। কিউইদের স্পিন বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে টাইগাররা। মাঝে মুশফিকুর রহিম নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে আউট হয়েছেন ‘অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ডের’ ফাঁদে পড়ে। এমন এত বিরল ইতিহাসের দিনে তৃতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে মুশফিক-শান্তরা অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরগতিতেই করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসান। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান তোলে দুই ব্যাটার। তবে এরপরই শুরু হয় ছন্দপতন, ১১ এবং ১২তম ওভারে ফিরে যান জাকির (৮) এবং জয় (১৪)। ৪০ বলে ১৪ রান করা জয় অবশ্য ৩ রানে একবার জীবনও পেয়েছিলেন, কাজে লাগাতে পারেননি।
অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও ফিরেছেন ১০ বলে ৫ রান করে। মিচেল স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লুউ হয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত, করেছেন ১৪ বলে ৯ রান।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন মুশফিক এবং দীপু। টানা চার ওভার কোনপ্রকার রান না নিয়েই পার করে বাংলাদেশ। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের খোলস থেকে বের করে এনেছেন দুজনেই। ৭৮ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন লাঞ্চে। লাঞ্চের পরেও কিছুটা সময় ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার।
৪০.৪ ওভাএর নিজের ভুলেই অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউট হন মুশফিক। কাইল জেমিসনের বল সলিড ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। এরপর অহেতুক বলটি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এতে ‘অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আউট হলেন মুশফিক।
মুশফিকের পর ফিরে গেছেন শাহাদাত দিপু এবং নুরুল হাসান সোহানও। ওয়াইড হতে যাওয়া বলে অহেতুক খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন দিপু। আর বল আকাশে তুলতে চেয়ে ফিল্ডারের তালুতে ক্যাচ দিয়েছিলেন সোহান। শেষ ভরসা ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যাচ দিয়েছেন তিনিও। স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার ছিলেন মিরাজ। ১৪৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষে তাইজুল ও শরীফুল স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬ ও ১০ রান। নাঈম হাসান অপরাজিত ছিলেন ১৩ রানে।