লিনেল মেসি নয়, ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার প্রধান দুশ্চিন্তার কারণ ছিলো বলিভিয়ার উচ্চতা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় খেলাই ছিলো প্রধান চিন্তার কারণ। এমনকিই ম্যাচের আগে অনেক খেলোয়ার ছোট ছোট বোতলে অক্সিজেন পর্যন্ত বহন করেছেন নিজেদের সাথে। কিন্তু সব দুশ্চিন্তা ও উচ্চতাভীতি ছাপিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে বড় জয়।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বেশ ভালোভাবেই উচ্চতাকে জয় করে ফিরেছে আলবিসেলেস্তেরা। মঙ্গলবার বলিভিয়ার মাঠ লাপাজে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় দিবাগত রাত ২টায়। ম্যাচে আলবিসেলেস্তেরা জয় পায় ৩-০ গোলে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন এনজু ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ও নিকোলাস গঞ্জালেস।
ইকুয়েডর ম্যাচের পরই মেসিকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। বলিভিয়ার বিপক্ষে হয়তো নাও খেলতে পারেন এলএমটেন। সেই শঙ্কা সত্যতায় রূপ দিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। শুধু একাদশেই নয়, স্কোয়াডেই দলের সেরা তারকাকে রাখেননি তিনি। তবে ডাগআউটে মাঠে বসে ঠিকই সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছেন সুপার স্টার।
লা পাজে এদিন শুরু থেকেই বলের দখলে ছিল সফরকারীরা। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমার্ধেই লিড আর্জেন্টিনার। অ্যাঞ্জোলো ডি মারিয়ার পাসে পূর্ণতা দেন কাতার বিশ্বকাপের উদীয়মান তারকার পুরস্কার পাওয়া এনজো ফার্নান্দেজ।
বলিভিয়ার জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে রবার্তো ফার্নান্দেজের লাল কার্ড। বিরতির আগে ১০ জনের দলে স্বাগতিকরা। এর পরই ডি মারিয়ার ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
বিরতির পরও আধিপত্য আলবিসেলেস্তেদের। জয়ের আনন্দ বড় করেন নিকোলাস গঞ্জালেস। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২ ম্যাচে শতভাগ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আলবিসেলেস্তে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা খেলেছে ৬ ম্যাচ। যেখানে শতভাগ সাফল্য স্কালোনি শীষ্যদের। প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছেন ১৭ গোল, বিপরীতে একটি গোলও নিজেদের জালে নেননি তারা।
