fbpx

যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। তাই পেঁয়াজের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত শনিবার ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাবে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা একদিন আগেও ছিল ৮০ টাকার মধ্যে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্কারোপের বিষয়ে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুস গয়ালের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিইনি। এতে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে আমদানি না করলে দেশি পেঁয়াজ কমে যাচ্ছে এবং দাম আস্তে আস্তে বাড়ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপিও দিয়েছি। কিন্তু এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন।‘
ভারত তাদের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা হয়নি। যার ফলে এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, এটা হলো আমাদের সমস্যা। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল তাই বেশি ঘরে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি পেঁয়াজ ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সেজন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।‘

তিনি বলেন, ‘এটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিকল্প হচ্ছে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা। মিসর, তুরস্ক, চীন থেকে এটা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা (পেঁয়াজ আমদানি) প্রত্যক্ষভাবে আমাদের দায়িত্ব নয়। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায়িত্ব এড়াতে পারবো না। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করবে। এরই মধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি- অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।‘

তবে কবে নাগাদ আমদানি করা হবে, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক  জানান, যারা আমদানি করে তারা কাল থেকেই করতে পারে। যে কেউ ইমিডিয়েট চীন, জাপান, ইরান থেকে পেঁয়াজ আনতে চায়, আমরা তাদের আইপিও দেবো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply