গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের শেষ ম্যাচে দ্রুত তুলে নেওয়ায় কোচের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে বসিয়ে সান্তোসের রামোসকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্তুগালের একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করেন বেনফিকার এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২ গোল করেছে পর্তুগাল। ১৭ মিনিটে প্রথম গোলটি রামোসের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের ফসল। হোয়াও ফেলিক্সের কাছ থেকে পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন।
পর্তুগিজ মিডফিল্ডে দিওগো দালত ও হোয়াও ফেলিক্সের অসামান্য পারফরম্যান্সে ৫১ মিনিটে আবারও খুলে যায় সুইসদের গোলমুখ। এবার দালতের পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল রামোসের। সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমারকে দক্ষ স্ট্রাইকারদের মতো ফাঁকি দিয়েছেন রামোস। এরপর ৪ মিনিট পরই আবারও গোল এবং সেই গোলেও আছে রামোসের অবদান। প্রতি–আক্রমণে উঠেছিল পর্তুগাল।
রামোসের পাস থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন পর্তুগিজ লেফটব্যাক রাফায়েল গেরেরো। লক্ষণীয় বিষয় হলো, রামোস নিজেই গোল করার মতো পজিশনে ছিলেন। কিন্তু গেরেরোকে আরও সুবিধাজনক জায়গায় দেখে নিঃস্বার্থভাবে তাঁকে পাস বাড়ান। দলের জন্য এই নিঃস্বার্থ মনোভাবের পুরস্কার ৬৭ মিনিটেই পেয়েছেন রামোস। তবে তার আগে সান্ত্বনার গোল পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।
৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজি। এরপর সুইসরা খেলার ধার বাড়ালেও লাভ হয়নি। উল্টো ৬৭ মিনিটে সুইসদের রক্ষণ চিরে আরও একটি গোলের পাস দেন ফেলিক্স। বেশ লম্বা মাপা পাসটি ধরে রামোস সহজেই সোমারকে ফাঁকি দিয়ে গোল দেন।
৭৪ মিনিটে ফেলিক্সের বদলি হয়ে নামা রোনালদোও ৮৪ মিনিটে সুইসদের জালে বল পাঠান। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল করে পর্তুগালের উৎসবে ‘ছয় তারকা’ এনে দেন রাফায়েল লিয়াও।