শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সুষ্ঠভাবে মাঠে গড়াবে তো? ‘গ্লেজার পরিবারের’ বিরুদ্ধে মাঠে বসেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তরা প্রতিবাদ কর্মসূচি আহ্বানের পর থেকেই শঙ্কায় ছিলেন লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে, শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়িয়েছে। উল্টো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-১ গোলে লিভারপুলকে হারানোয় ভক্তদের ক্ষোভ যেমন কিছুটা হলেও কমেছে, তেমনি মান বেঁচেছে নতুন কোচ এরিক টেন হাগেরও।
প্রথমার্ধে ইউনাইটেড বসের দেয়া সবচেয়ে বড় চমক ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্তটা। ফলে প্রথমার্ধের পুরো সময়টাই সাইড বেঞ্চে বসে দলের খেলা দেখা ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না সিআরসেভেনের সামনে। অবশ্য, পর্তুগিজ এই স্ট্রাইকারের অভাবটা বুঝতেও দেননি জেডন সাঞ্চো। ১৬ মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে গোল করে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রেড ডেভিলরা।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনালদো। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে ইউনাইটেড। ৫৩ মিনিটে ডি বক্সে ঢুকে জোরালো এক শট নেন মার্কাস রাশফোর্ড। প্রথমে অফসাইড মনে হলেও ভিআরএসে গোলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ফলে ২-০ গোলের লিড নেয় টেন হাগের দল। অবশ্য, ৮১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান মোহাম্মদ সালাহ। তবে, শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলকে।
এই জয়ের ফলে ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে জিতল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর এটাই তাদের প্রথম জয়। অপরদিকে, প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করে তৃতীয় ম্যাচে মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেল সালাহ -ফিরমিনোরা। ইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে ইউনাইটেডের অবস্থান এখন ১৪তম, লিভারপুল আছে ১৬তম স্থানে।