ভিটামিন সি-এর অতি পরিচিত উৎস লেবু। লেবু আমরা অনেকে খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কী লেবুর গুণাগুণ। লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ত্বক পরিষ্কারক, কিডনি পাথর, ওজন কমানোসহ বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সমাধান করে থাকে।
লেবুর উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে লেবুর নানা ধরন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় রূপচর্চায়ও লেবু ভীষণ জনপ্রিয়। পানিতে মিশিয়ে বা ভাতের সাথে এক টুকরো লেবু খেলে কী কী উপকার হতে পারে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
লেবু আপনাকে হজম সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। সকালে উঠে লেবু পানি পান করলে এটি আপনাকে সারাদিন ধরে হজমজনিত সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধেও সহায়তা করতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে
লেবুতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ফাইবারসহ নানা উপাদান থাকায় এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। গবেষণা অনুসারে, এক মাস ধরে প্রতিদিন ২৪ গ্রাম সাইট্রাস ফল যেমন লেবুর নির্যাস গ্রহণ করলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। লেবুতে উপস্থিত দুটি উপাদান এই কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অনেক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। পাশাপাশি কাশি ও সর্দি নিরাময় করে।
ওজন হ্রাসে সহায়তা করে
লেবু পানি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবু চিপে নিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু যোগ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। এটি বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে তুলবে এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করবে।
কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে
টক ফল কিডনিতে পাথরের প্রাথমিক কারণ ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল জমাতে বাধা দেয়। এর ফলে নিয়মিত লেবু খেলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে না।
রক্তাল্পতার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
ভিটামিন-সি খাবার থেকে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য এটি খুব প্রয়োজনীয়। ভালোভাবে আয়রন শোষণের ফলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমে যায়।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতার একটি প্রচলিত কারণ। লেবুতে অল্প পরিমাণে আয়রন আছে। তবে এটি ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস, যা খাবার থেকে আয়রনের শোষণকে উন্নত করে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।