fbpx

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১ উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ফজরের নামাজ শেষে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ও বিমান ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

এদিন সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ এবং সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছলে তাঁদের স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি: পিআইডি

শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন আবদুল হামিদ। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি: পিআইডি

রাষ্ট্রপতির পরই সরকারপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনিও কিছু সময় সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অনার দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাশিখা অনির্বাণে ফুল দেওয়ার সময় সেখানে বিউগলের করুণ সুর বেজে ওঠে।

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাএরপর একে একে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ বাহিনীর পক্ষে শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। তাঁর সাথে এএফডি’তে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধান।

শহীদদের প্রতি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাএদিন সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পাঁচজন সেনা, দু’জন নৌ এবং একজন বিমান বাহিনীর সদস্যকে ২০২০-২১ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আজকের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। এই আক্রমণ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ঐতিহাসিক দিনটিকে প্রতি বছর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply