fbpx

সাউথ আফ্রিকার ‘ক্রিকেট’ সংস্কৃতি বদলাতে চান বাভুমা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেট দল হিসাবে আমাদের প্রচন্ড চাপে রাখা হয়েছে, অন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক দল, এমনকি যেকোনো স্থানীয় দলের চেয়েও বেশি’- গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ‘বর্ণবাদ’ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জোরপূর্বক খেলায়াড়দের হাঁটুগেড়ে বসতে বাধ্য করায় বোর্ডের বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাউথ আফ্রিকার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। সেইসাথে জানিয়েছিলেন ঠিক কতোখানি মানসিক চাপে থাকতে হয় প্রোটিয়াদের।

এক সময়ের গায়ের রঙ দিয়ে মানুষের মধ্যে পার্থক্য করার দেশে গত বছর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে কাঁধে তুলেছেন অধিনায়কের দায়িত্ব। অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেয়াই নয়; বাভুমা বুঝেছিলেন, তাকে পালন করতে হবে আরও অনেক বড় দায়িত্ব। বদলে দিতে হবে বর্ণবাদ নিয়ে সাউথ আফ্রিকা দলের মনোভাব এবং ক্রিকেট সংস্কৃতি।

দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমতার বীজ বপনের দায়িত্বটাই যেন নিয়েছেন বাভুমা। বিখ্যাত ক্রিকেট ম্যাগাজিন ‘দ্য ক্রিকেট মান্থলি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাভুমা জানিয়েছেন,“আমার দলের ছেলেগুলো ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে এসেছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। তবে, আমি সবসময়ই নিশ্চিত করতে চাই, তারা যেন একই টেবিলে বসে নিজেদের মতামত, সিদ্ধান্ত এবং অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারে। নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপ নয়, বরং আমি চাই সবার কথাই যেন সমান গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।”

তারপরও থেকে যায় অনেক যদি-কিন্তুর হিসাব। জোর করে তো আর কারো দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো যায় না! বাভুমা সেটা খুব ভালভাবেই জানেন, অনুধাবন করেন। লম্বা সময় ধরে চলে আসা সংস্কৃতি যে একদিনে একার পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কৃতি এমন একটা জিনিস, যা দুই-তিন মাসের মধ্যে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, দলের খেলোয়াড়দের যা গড়ে তোলার অভ্যাস করতে হবে। এটা শুধুমাত্র কোচ কিংবা অধিনায়কের দায়িত্ব নয়; টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, অধিনায়ক এবং দলের সব খেলোয়াড়কেই নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply