fbpx

সিঙ্গাপুরে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থপাচার অভিযান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ পাচারবিরোধী অভিযান চালিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। বিদেশ থেকে পাচার করে আনা অর্থ-সম্পদ জব্দে বড় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক অর্থ ও পাচার সামগ্রী জব্দ করেছে অভিযানকারী দল। পাচারকারীদের বিলাসবহুল বাংলো ও অ্যাপার্টমেন্টে মঙ্গলবার ওই অভিযান চালায় সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ)।

সিঙ্গাপুর পুলিশের বিবৃতি ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নারীসহ ১০ বিদেশিকে এ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কেউই সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন। সবার বয়স ৩১ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। তাদের কাছে চীন, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, সাইপ্রাস ও ভানুয়াতুর পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

ট্যাংলিন, বুকিত তিমাহ, অরচার্ড রোড, হল্যান্ড, সেন্তোসা কোভ, রিভার ভ্যালিসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে এক ব্যক্তি একটি বাংলোর দোতলা থেকে লাফিয়ে ড্রেনে লুকানোর চেষ্টা করেন। পরে ড্রেন থেকে বের করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তদন্তের প্রয়োজনে আরও ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এসপিএফ বলছে, এ ঘটনায় পলাতক আছেন আটজন। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযানে সিঙ্গাপুর পুলিশের ৪০০ সদস্য অংশ নেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ (সিএডি), দাঙ্গা বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও অভিযানে ছিলেন।

অভিযানে ১০০ কোটি সিঙ্গাপুর ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে– অভিজাত বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি, স্বর্ণের বার, দামি ব্যাগ ও মদ। জব্দের তালিকায় ২ কোটি ৩০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলারের সমপরিমাণ নগদ অর্থও রয়েছে। অভিযানে ৯৪টি বিলাসবহুল বাড়ি জব্দ করা হয়। সব বাড়িই অভিজাত এলাকায়। এ ছাড়া ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫টির বেশি ব্যাংক হিসাব, যেখানে ১১০ মিলিয়ন ডলারের ওপরে জমা রয়েছে।

দেশটির বাণিজ্য কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডেভিড চু বলেছেন, “সিঙ্গাপুরে অবৈধভাবে অর্জিত বা অর্থ পাচারের মাধ্যমে করা সম্পদের সন্ধান পাওয়ামাত্রই জব্দ করা হবে। সিঙ্গাপুরকে ব্যবহার করে কোনোভাবেই জালিয়াতি বা অর্থ পাচার করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি।’’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট, অর্থ পাচারকারীর তথ্য পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

এই অভিযানে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক আটক হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করে কোনোপক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply