সিরিজ জয় তো আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় ম্যাচে মূল লক্ষ্যটা ছিল সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আরো ‘১০’ পয়েন্ট যোগ করা। অথচ, সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ওয়ানডেতে প্রথম আফগান ব্যাটার হিসেবে পেয়েছেন শতকের দেখা। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ১০৬* রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। সেই সাথে সাউথ আফ্রিকা সিরিজের আগে ‘১০০’ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন কুমার দাসের ৮৬,সাকিব আল হাসানের ৩০ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রানের কল্যাণে ৪৬.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় মোটে ১৯২। আগফানদের পক্ষে তিন উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। এছাড়াও দুইটি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ নবি।
মাঝারি টার্গেটের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের পক্ষে দারুণ শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রিয়াজ হাসান এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। সুপার লিগে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের আরও ‘দশ’ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেয়ার স্বপ্নটা এতক্ষণে ফিকে হতে শুরু করেছে। সপ্তম ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজের রান তখন ১৩, শরীফুল ইসলামের বলটা ব্যাটের কোণা লেগে যখন বেরিয়ে যায় মুশফিকুর রহিম আর ইয়াসির আলীর মধ্য দিয়ে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৯২, ম্যাচ জিততে হলে ফিফটি সুযোগগুলোও লাগাতে হতো কাজে। সেটাতেই ব্যর্থ বাংলাদেশ; ১৩ রানের পর গুরবাজ জীবন পেয়েছেন ৬০ রানেও, আবারো ক্যাচ মিস করেছেন মুশফিক, আরো একবার শরীফুলের বলেই। দুইবার জীবন পাওয়া রহমানুল্লাহ শেষ অব্দি করেছেন অপরাজিত ১০৬* রান।
অথচ, সাকিব আল হাসানের প্রথম উইকেট অর্জনে জেগেছিল আশা। মূলত আশা জেগেছিল এরপর সাকিব-তাসকিনের সাত ওভারের স্পেলে। এরপরেই বল হাতে এসেছেন শরিফুল-মেহেদী হাসান মিরাজ। এসেই শরীফুল পেয়েছিলেন উইকেটের সুযোগ। দুর্দান্ত এক বাউন্সার ছুঁড়েছিলেন রহমতুল্লাহর উদ্দেশ্যে, অর্ধশতক করে ফেলা গুরবাজের ব্যাট লেগে সেটা চলে যায় উইকেটকিপারের কাছে। মুশফিক বাঁপ্রান্তে ঝাপিয়েও পারেননি ক্যাচটা লুফে নিতে, পারেননি জয়ের আশাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে।
২০১৬ সালের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে ৫০ রান এসেছে রহমানুল্লাহ এবং রহমত শাহের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত রহমতকে ৪৭ রানে আউট করে ১০০ রানের জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ততোক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে, আফগানরা জিতেছে ৭ উইকেটে। টাইগারদের পক্ষে দুই উইকেট পেয়েছেন মিরাজ, সাকিব পেয়েছেন একটি। সিরিজ জিতলেও সুপার লিগের ‘১০’ পয়েন্ট হারানোর আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের।