fbpx

সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙে হাওরে ঢুকছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সুনামগঞ্জে শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের মাউতির বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে শাল্লা উপজেলা সদরের সুলতানপুর গ্রামের পাশের মাউতি নামক স্থানে ছায়ার হাওরের বোরো ফসলরক্ষা ৮১ পিআইসির (ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) বাঁধটি ভেঙে যায়।

এ হাওরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টরসহ কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার বোরো জমি রয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছায়ার হাওরের ৯০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে কৃষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এখনও ৫০ ভাগ জমির ধান কাটা বাকি আছে।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ‘দাড়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাাঁধের এই প্রকল্পটি অন্য প্রকল্পের চেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ ছিল না। তারপরও পানির চাপে রবিবার সকালে ভেঙে গেছে। এখন হাওরে পানি প্রবেশ করছে।’

চলতি বোরো মৌসুমে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করে এই বাঁধটি নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু নির্মাণের শুরু থেকেই কৃষকদের অভিযোগ ছিল বাঁধের গুণগত মান নিয়ে।

জগদীশ চন্দ্র সরকার নামের একজন বলেন, ‘ছায়ার হাওর তিনটি জেলা নিয়ে বিস্তৃত হলেও সবচেয়ে বেশি জমি আমাদের শাল্লা উপজেলার। আমাদের অর্ধেক ধান কাটা বাকি রয়ে গেছে। এই অর্ধেক ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পিআইসি দেওয়া হয়েছে সিলেট শহরে থাকে একজন অকৃষক তাকে। জরুরি সময়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সে যদি বাঁধে তদারকি করত তাহলে বাঁধটি ভাঙতো না।’

শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন, ‘ছায়ার হাওরে সবচেয়ে বেশি জমি শাল্লা উপজেলার। কিছু জমি কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন ও কিছু জমি নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষকদের। ইতোমধ্যে শাল্লা অংশে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। বাকি অর্ধেক ধান কাটার বাকি আছে। এই অবস্থায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply