গতকাল (১৭ জানুয়ারি) ক্রিকেট বিশ্ব এক আশ্চর্য্য ম্যাচ উপভোগ করলো। এত দুর্দান্ত এক ক্রিকেটিয় ম্যাচের পরও রয়ে গেলো সমালোচনার খচখচানি। ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি প্রথমে টাই হলো। এরপর সুপার ওভারও টাই, পরে আবার দ্বিতীয় সুপার ওভার খেলে এলো ফলাফল। যেখানে আফগানিস্তানকে ১০ রানে হারায় ভারত।
তবে অবিশ্বাস্য এই ম্যাচে বিতর্ক জুড়ে দিয়েছে রোহিত শর্মার ব্যাটিং।
নির্ধারিত ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরির পর প্রথম সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন রোহিত। ১৭ রান তাড়ায় আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল। তাই নন স্ট্রাইক প্রান্তে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। রোহিতকে তুলে নিয়ে নামানো হয় রিংকু সিংকে। যাতে করে তিনি দ্রুত দৌড়াতে পারেন। শেষ বলে কেবল এক রানই নিতে পারেন যশস্বী জসওয়াল। তাই আবারও সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।
এবারও ভারতের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রোহিত। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরের সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন না। এখন রোহিত প্রথম সুপার ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট নাকি রিটায়ার্ড আউট ছিলেন সেটাই প্রশ্ন? ম্যাচ অফিসিয়ালরা কিছুই পরিষ্কার করেননি।
আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, কোনো ব্যাটারকে রিটায়ার্ড হার্ট হতে হলে ইনজুরি বা অনিবার্য কারণ দেখাতে হয়। রোহিতের এমন কিছুই ছিল না। তিনি স্বেচ্ছায়ই মাঠ থেকে উঠে যান। নিয়ম মতে, তিনি রিটায়ার্ড আউট।
কিন্তু আম্পায়রের ভুলে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে যান ভারতীয় অধিনায়ক। ফরিদ আহমেদের ওভারে এক ছক্কা ও এক চার মেরে ভারতকে এনে দেন ১১ রানের সংগ্রহ। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
ম্যাচ শেষে রোহিতের প্রসঙ্গে আফগান কোচ জনাথন ট্রট বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। এর আগে কি কখনো দুটি সুপার ওভার হয়েছে? বলতে চাচ্ছি, এটা নতুন কিছু। আমি যেটা বলার চেষ্টা করছি, আমরা নিয়মগুলোকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করছি, নীতিমালাকে পরীক্ষা করছি। ’
আম্পায়ার বা আইসিসির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হয়নি। এর ফলে সমালোচনার পারদ বেড়েই যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ভারত বলেই এমন পক্ষপাতিত্ব।