জীবনযাত্রার মান এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শুধু বয়স্করাই নয়, এখন ত্রিশ বছরের নিচের বয়সীদের ভেতরও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে। তাই আমাদের আগে থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কিন্তু আমরা খুব একটা সচেতন থাকি না বিপদ আসার আগে। আমাদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এগুলি হৃদরোগের বড় কারণ। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
খাবারে আনুন পরিবর্তন
মাছ, মাংসের পাশাপাশি বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খান। এই সব খাবার কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। দৈনিক খবার তালিকায় ওটমিল, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও বিভিন্ন ধরনের ফল রাখুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এ সব থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। প্রতিদিন নিয়ম মেনে করতে হবে।
ভালো ঘুম হোক নিত্যদিনের সঙ্গী
রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হার্ট ফেল করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীর স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।
মনকে প্রফুল্ল রাখুন
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আমরা অত্যধিক চাপে থাকি। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়েই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি দেখা দেয়। সেই জন্য কোনও ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনকে শান্ত রাখতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। বই পড়ার অভ্যাসও আপনার মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
ধূমপানে বিষপান
ধূমপান করলে হৃদযন্ত্রের ধমনী সংলগ্ন কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি রক্ত জমাট বেঁধে যায়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে বাড়ে হৃদস্পন্দনও। তাই হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।