অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব, শরীরচর্চার অভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় যত গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) এর মতে, প্রযুক্তি নির্ভরতা ওবেসিটি, থাইরয়েড, কোলেস্টেরলের সমস্যার মতো নানা ব্যাধির জন্ম দিচ্ছে। আর এই সমস্যাগুলি থেকেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্রোগ।
উচ্চ রক্তচাপ
অনেকেই আজকাল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন। রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, বেহিসাবি জীবনযাপনও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোলেস্টেরল
রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এলডিএল), হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল)। এলডিএল শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। ধমনীতে এই খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনির রক্ত প্রবাহ হ্রাস পায়, সেই সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।
স্থূলতা
অতিরিক্ত ওজন হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এর সমীক্ষা অনুসারে, শরীরের বাড়তি ওজন খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে আর ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। তাই স্থূলতার বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
হৃদরোগের লক্ষণ
– বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
– নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
– পিঠ, ঘাড়, পেটসহ শরীরের উপরের অংশে ব্যথা ও অস্বস্তি
– ঘাম হওয়া, হালকা মাথাব্যথা।