fbpx

২০২৫ সালের মধ্যে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন জেনারেল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামী দুই বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে, এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন এক চার-তারকা জেনারেল।

১ লাখ ১০ হাজার সদস্যের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইক মিনিহান নামের ওই জেনারেল বলেন, “আশা করছি, ভুল প্রমাণিত হোক। কিন্তু আমার প্রখর অনুভূতি বলছে, ২০২৫ সালেই লড়বো আমরা।” মাইক মিনিহান তার স্বাক্ষরিত এক অভ্যন্তরীণ চিঠিতে এই অভিমত তুলে ধরেছেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিনিহান চিঠিতে আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান উভয়ই ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। তখন থেকেই প্রস্তুতি নেবে দেশ দুটি।

তবে জেনারেল মিনিহানের এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এসব মন্তব্য চীন বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও বলেছিলেন, সম্প্রতি তাইওয়ান উপকূলের আশপাশে চীন সামরিক তৎপরতা জোরদার করলেও তা তাইওয়ানে বেইজিংয়ের আগ্রাসন আসন্ন এমন ইঙ্গিত দেয় কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে তার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের ওপর কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। আর তাইওয়ান সরকার বলছে, তারা শান্তি চায়, তবে আক্রান্ত হলে তা মোকাবেলা করতেও তারা প্রস্তুত।

মিনিহানের মেমো বিষয়ে এনবিসি নিউজ প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে; মেমোটির একটি কপি রয়টার্সও পর্যালোচনা করে দেখেছে।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “চীনের সঙ্গে সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি মুখ্য চ্যালেঞ্জ। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার দিকেই এখনো আমাদের নজর আছে।

চীন তাইওয়ানকে তার বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড মনে করে; নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তারা দেশটির ওপর বল প্রয়োগ করতেও পিছপা হবে না, এমনটিই মাঝে মাঝে হুঁশিয়ার করে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাসী হলেও যে কোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সহায়তা দিতে তারা আইনগতভাবে বাধ্য।

Advertisement
Share.

Leave A Reply