fbpx

২৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ঘরে নামলো রিজার্ভ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবুও গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ।

বর্তমানে এই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা ২৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। বুধবার এই সূচকের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, মঙ্গলবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রপ্তানি আয়ের বিপরীতে উচ্চ আমদানি ব্যয় পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কর্মকর্তারা।

ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমদানি ব্যয় কমছে। যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। উদ্বেগের কিছু নেই। অন্যদিকে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ছে। ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠে যাবে।’

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। আর গত বছরের আগস্টে এই সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিকম করেছিল।

আমদানি বিল পরিশোধের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। সে কারণেই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৭ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২৬ মাস (দুই বছর দুই মাস) পর রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে।

এর আগে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। এরপর গত কয়েক দিন তা ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করছিল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply