fbpx

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বয়স ৩০ এর কোঠায় আসা মানেই মনে-শরীরে কিছুটা হলেও বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। এ বয়সে দরকার বিশেষ যত্ন। নিজের শরীর, মন ও ত্বকের যত্নে আরও বেশি সময় দিন ও খেয়াল রাখুন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ৩০ বছরের পরের কিছু যত্ন-

নিয়মিত শরীরচর্চা করা

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

নিয়মিত শরীরচর্চা করা

বয়স ৩০ পেরিয়েছে মানেই কেরিয়ার তখন মধ্যগগনে। ফলে ব্যস্ততা, কাজের চাপ সব কিছুই বেশি। নিজের জন্য সময় থাকে না বললেই চলে। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বাঁচিয়ে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। নয়তো দীর্ঘ দিন ধরে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ফিট থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিয়ম করে যদি কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের মতো কিছু শারীরিক কসরত করতে পারেন, সত্যিই ভাল থাকবেন।

সুষম ডায়েট

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

সুষম ডায়েট

ঘরোয়া খাবারের কোনও বিকল্প হতে পারে না। তাই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতি দিন প্রোটিন, নানা রকম শস্য, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খান। সেই সঙ্গে রাশ টানতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, নরম পানীয়ের মতো খাবার খাওয়ায়।

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

পর্যাপ্ত ঘুম

সারা দিন তো বটেই, রাতেও কাজ নিয়ে বসেন অনেকে। ফলে ঘুম শিকেয় ওঠে। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। ভিতর থেকে দুর্বল লাগে। ঘুমের ঘাটতি আরও নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমোনো জরুরি।

নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

পর্যাপ্ত ঘুম

অসুস্থ না হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না অনেকেই। কিন্তু মাঝেমাঝেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়ে শরীরের অন্দরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। কিন্তু বাইরে থেকে তা বোঝা যায় না। ভিতর থেকে সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

মদ্যপান কম করা

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

মদ্যপান কম করা

ধূমপান, মদ্যপানের প্রবণতা শরীরের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। প্রতিনিয়ত এই অভ্যাস শরীরের অন্দরে নানা সমস্যার জন্ম দেয়। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপান আর মদ্যপানে করা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

নিজের ত্বকের খেয়াল রাখুন

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

নিজের ত্বকের খেয়াল রাখুন

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন নিয়মিত। ত্বক মসৃণ ও টান টান থাকবে। সান্সক্রিম ব্যবহারের অভ্যাস করুন। সম্ভব হলে ভালো কোন টোনার। খুব জোরে ঘষে ঘষে মুখ মোছা যাবে না। আলতো হাতে মুখ মোছার অভ্যাস করুন, যাতে ত্বকে চাপ না লাগে (নিচের দিকে টান না লাগে)। মুখে প্রসাধন দেওয়ার সময়ও নিচের দিকে টানবেন না। ভ্রু বা কপাল কোঁচকানোর অভ্যাসটি খারাপ। এতে বাড়ে বলিরেখা। রোদে চোখ কুঁচকে তাকাতে গিয়ে চোখের নিচের বলিরেখাকে নিজেই ডেকে আনতে পারেন। তাই রোদচশমা ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ত্বকে কোনো কিছু দেওয়ার পর যদি চুলকানি বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে ফেলতে হবে আর সেটি পরেও ব্যবহার করা উচিত নয়।

চুলের যত্ন ভুলবেন না

৩০ এর পর মেনে চলুন এসব নিয়ম

চুলের যত্ন ভুলবেন না

এই বয়সে বিভিন্ন কারণে চুল ঝড়ে পড়ে বা পাক ধরে। সপ্তাহে ১-২ দিন মাথায় তেল মালিশ করুন। ৩-৪ রকম তেল (যেমন ক্যাস্টর অয়েল, জলপাই তেল, তিলের তেল, নারকেল তেল) সমপরিমাণে মিলিয়ে রেখে দিতে পারেন কৌটায়। কিংবা শুধু নারকেল তেলে কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়েও নিতে পারেন। প্যাক তৈরি করতে নিন সমপরিমাণ আমলকী, হরীতকী, বহেরা। লাগবে টক দই (মিশ্রণের ঘনত্ব ঠিক করতে যতটা প্রয়োজন)। ব্লেন্ড করে নিয়ে মাথায় ও চুলে লাগানোর ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন, সপ্তাহে দুই দিন। একই দিনে তেল আর প্যাক লাগালে তেল মালিশের পর প্যাক লাগান।

চিরসবুজ পাতার মতন
নিজেকে সময় দিন। মাঝে মাঝে নিজেকে ছুটিও দিন, আয়েশ করুন। মনের যত্ন নিন। ভালো লাগার কাজে ডুবে থাকুন মাঝে। বই পড়ুন। বাগান করুন। ছুটির দিনে ২০টি মিনিট আরামে শুয়ে থাকতে পারেন পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনতে শুনতে, চোখের ওপর ঠান্ডা শসার স্লাইস রেখে। চোখের নিচের কালচে ছোপও কমবে। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। পর্যাপ্ত পানি খেতে ভুলবেন না। কাজ ও বিশ্রামের সময় সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখুন (যেমন ঘাড়-কোমর নুইয়ে বা বাঁকিয়ে কাজ করা যাবে না, কম্পিউটারে কাজ করলে দেহভঙ্গি ঠিক রাখতে হবে)। আর থাকুন প্রফুল্ল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply