পাল্লেকেলে’তে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে, বার্তাটা পরিষ্কার। এই পিচে দিন গড়ানোর সাথে সাথে বোলাররা পাবে ফায়দা। বিশেষ করে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ দিন থেকে স্পিনাররা হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর। তবে, টেস্টের প্রথম সকালে সবসময়ই কিছুটা সুবিধা থাকে পেসারদের জন্য। বেশ কয়েকটা হাফ চান্স নিজেদের আয়ত্বে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। এরমধ্যে তাসকিনের বলে ২৮ রানে থাকা করুনারত্নের সহজ ক্যাচ স্লিপে ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে ২৭ ওভারে বিনা উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬৬। করুনারত্নে ও থিরিমান্নে দু’জনই ৩২ রানে আনবিটেন।
টানা দুই টেস্টে টাইগার একাদশে ৫ স্পেশালিষ্ট বোলার। ইবাদতের জায়গায় অভিষেক হয়েছে শরিফুল ইসলামের। নতুন বলে বাহাতিকে দেখা যায়নি। তবে রাহী আর তাসকিন ঠিকই প্রতিপক্ষ ওপেনারদের নাচিয়েছেন।
প্রথম ঘণ্টায় উইকেটে ছিলো আর্দ্রতা, চকচকে লাল বলের ব্যবহারটা মন্দ করেনি টাইগার পেস ইউনিট। ৮০ থেকে ৮৫ মাইলের ইনসুইংয়ে একাধিকবার দিমুথ আর থিরিমান্নেকে বিট করেছেন আবু জায়েদ রাহী। অথচ, প্রথম স্পেলে রাহীকে দিয়ে শুধুমাত্র দুই ওভার করিয়েছেন মুমিনুল হক। বলাই যায়, প্রথম সেশনে তাসকিন বেশি ইম্প্রেসিভ। ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটারের উপরে গতি, লাইন লেন্থও ছিলো চমৎকার। সুযোগও তৈরী হয়েছিলো তার বলে, শুধু ভাগ্য সহায় হয়নি সফররতদের।
ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ডেব্যুটেন্ট শরিফুল। প্রথম ওভার থেকে আত্ববিশ্বাসি লেগেছে, আউট সুইংয়ে থিরিমান্নেকে চমকেও দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। ৬ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়েছেন শরিফুল।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের কোনো সাফল্য নেই। আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা লঙ্কান অধিনায়ক আজ নতুন কীর্তি গড়লেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে টেস্টে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রান তার উইলোতে।