ইনিংস ব্যবধানে জয় লাভের সব প্রস্তুতি তৃতীয় দিনেই করে রেখেছিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। বাকি ছিলো শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
চতুর্থ দিন ক্যারিবিয়দের চার উইকেট তুলে নিতে স্বাগতিকদের করতে হয়েছে মাত্র ১৬ ওভার ৫ বল। টেস্টে সফররতদের অর্জন বলতে ব্ল্যাকউডের সেঞ্চুরি। ৮০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা এই ব্যাটসম্যান আউট হন ১শ’ ৪ রানে। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির সাড়ে ৫ বছর পর আরেকটি শতরানের দেখা পেলেন এই ব্যাটসম্যান।
অপর প্রান্তে, জোসেপ ব্যর্থ হন সেঞ্চুরি তুলে নিতে। আগের দিনের সঙ্গে ২৭ রান যোগ করে আউট হন ৮৬ রানে। বাকি দুই ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। চোটের কারণে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করতে পারেননি শেন ডাওরিচ। শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও তার খেলা অনিশ্চিত।
ক্যারিবিয়দের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২শ’ ৪৭ রানে। প্রথম ইনিংসে তারা করতে পেরেছিল কেবল ১শ’ ৩৮। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিলো ৫শ’ ১৯ রানে।
হ্যামিল্টন টেস্টে মূলত একাই ব্যবধান গড়ে দেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার ২শ’ ৫১ রানের স্কোরটা দুই ইনিংসে একবারও ছুঁতে পারেনি উইন্ডিজের ১১ ব্যাটসম্যান মিলে। এই জয়ে অবশ্য কিউই পেসারদের অবদানটাও কম নয়। পেস বোলারদের গতি এবং সুইংয়েই নাস্তানাবুদ হয়েছেন ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানরা। পেসারদের মধ্যে টিম সাউদি এবং ওয়্যাগনার একটু বেশি বিধ্বংসী ছিলেন। প্রথম ইনিংসে সাউদি ৪টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়্যাগনার নেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৫১৯/৭ (ডি.)
উইন্ডিজ (১ম ইনিংস): ১৩৮(সাউদি ৪/৩৫, জ্যামিসন ২/২৫)
উইন্ডিজ (২য় ইনিংস):( ফলো অন)৫৮.৫ ওভার, ( ব্ল্যাকউড ১০৪, জোসেপ ৮৬) ওয়্যাগনার ৪/৬৬, জ্যামিসন ২/৪২