চট্টগ্রামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেও বল হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। এই সেশনে ভারতীয় দলের একটি মাত্র উইকেট নিতে পেরেছে বোলাররা। লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৪৮ রান। সফরকারীদের হয়ে চেতেশ্বর পূজারা ৯০ এবং শ্রেয়াস আইয়ার সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরতে ৬ উইকেট এবং ২৭৮ রান নিয়ে মাঠে নামে ভারত। আগের দিনে দুইবার লাইফ পাওয়া ব্যাটার এ দিনও শুরুর দিকে ছিলেন ভাগ্যবান। এবার তার ক্যাচ মিস করেন লিটন দাস। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইবাদত হোসেনের করা বলে বোল্ড আউট হন তিনি।
এরপর তেমন রান না করতে পারলেও উইকেটের এক প্রান্তে টিকে থাকেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন টেইলএন্ডার ব্যাটার কুলদীপ যাদব। অশ্বিন অপরাজিত আছেন ৪০ রানে এবং কুলদীপ অপরাজিত আছেন ২১ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এছাড়াও মেহেদি হাসান মিরাজ , খালেদ আহমেদ এবং ইবাদত হোসেন নিয়েছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলো ভারত, দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ছিলো ৬ উইকেটে ২৭৮ রান। তবে, বোলাররা তৈরি করা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে প্রথম দিন শেষে ফ্রন্টফুটেই থাকতে পারত বাংলাদেশ।
বুধবার টাইগারদের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দিনের শেষ সেশনে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। এই সেশনেও ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ। যার ফলে সেট হওয়া ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারা এবং শ্রেয়াস আইয়ার গড়তে পেরেছেন ১৪৯ রানের এক লম্বা পার্টনারশিপ। দলীয় ২৬১ রানে তাইজুলের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন পূজারা। আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৯০ রানের এক দূর্দান্ত ইনিংস। তবে দিনের শেষ বলে মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলকে আউট করলে ম্যাচে নিজেদের ফেরার আশা বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ।