সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের হার। ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সনে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, লাল বলের ক্রিকেটে এমন হার খুব বেশি অবাক হওয়ার মতো কিছুই না। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুর্বলতা বরাবরই লক্ষণীয় এবং হতাশার। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এখন টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ বাকি। যেখানে টাইগারদের প্রমাণ করার আছে অনেক কিছুই।
টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের টাইগারদের নেতৃত্ব দেয়ার পালা আপাতত শেষ। এবার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাঁধে বড় দায়িত্ব। যদিও টি-টোয়েন্টি যে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করছে সেটা বোলার একেবারেই উপায় নেই। সবশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই হারের স্বাদ পেতে হয়েছে মাহমুদুল্লাহর দলকে তবুও, ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় কিছুটা সাহস যোগাচ্ছে।
শেষ হওয়া দুই টেস্টেই কখনো নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটার কিংবা বোলার ভালো করলেও দলগতভাবে টাইগাররা জ্বলে উঠতে পারেনি। তবে সাকিব মনে করেন, টি-টোয়েন্টি দলগতভাবে খেলতে পারলে সিরিজ জেতা সম্ভব।
“আমাদের অবশ্যই অনেক জায়গা আছে উন্নতির। তবে দলগতভাবে খেলতে পারলে আমাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা সম্ভব”-বলছিলেন সাকিব
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ, এরপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, বড় দুই টুর্নামেন্টের আগে এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “আমাদের যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করেন, তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজ। এরপর এশিয়া কাপ খেলব, তার পরই বিশ্বকাপ। সে দিক থেকে সময় নেই। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
“ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক দলের সঙ্গে খেলাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এখানে ভালো করতে পারলে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপে খুব ভালোভাবে কাজে আসবে—এ মানসিকতাটা, আত্মবিশ্বাসটা। আমরা জানি এশিয়া কাপ খুবই কঠিন হবে, যেখানে ভারত-পাকিস্তান আছে; এমনকি আফগানিস্তানও এশিয়ার ভালো একটা দল। শ্রীলঙ্কাও ধারাবাহিকভাবে খুবই ভালো খেলছে”-তিনি আরও বলেন’