বৈশ্বিক ক্রীড়া আয়োজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় বিশ্বকাপকে ঘিরে। এই উপলক্ষে নিজেদের প্রচার-প্রসারে কোনো কমতি রাখে না বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। সুযোগটি ফিফার জন্যও লাভজনক। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফুলেফেঁপে ওঠে।
সাধারণত দর্শক যখন খেলা দেখেন, তখন কিছু বিজ্ঞাপনও দেখে থাকেন। যেমন খেলা চলাকালে স্টেডিয়াম জুড়ে ডিজিটাল বোর্ডে একে একে ওঠে আসে নানা ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন। এর মধ্যে খুবই পরিচিত ব্র্যান্ড ভিসা, কোকা-কোলা, কাতার এয়ারওয়েজ, এডিডাস, ম্যাকডোনাল্ডস, ওয়ান্ডা, ভিভো ও হুন্ডাই কিয়া।
তবে কাতার বিশ্বকাপের আবহ একটু ভিন্ন। এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অনেকে; বিশেষ করে যাদের শেকড় পশ্চিমা বিশ্বে তারা পিছু হটেছে। ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা থাকলেও সামনে নিয়ে আসা হয়েছে মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়াদি। এই নিয়ে ফিফার স্পন্সরশিপে ঘাটতি আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু সংস্থাটি বলছে ভিন্ন কথা।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সংস্থাটি বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে রেকর্ড ৭৫০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ থেকে ১০০ কোটি ডলার বেশি।
আগামী ২০২৬ সালে বিশ্বকাপের আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। ওই সময় আয় আরো বাড়বে। ইনফান্তিনো ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন।