fbpx

তবে কি বায়ুদূষণই ইংল্যান্ডের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতে চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অবস্থান দশ দলের মধ্যে ১০ম। কেনো এমন ভয়াবহ পারফরম্যান্স ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের সেরা দলের। আলোচনায় এখন ভারতের বায়ুদূষণ।

ভারতের বাতাস নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটারদের আপত্তি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের পর বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করার কথা বলেছিলেন ইংল্যান্ড ব্যাটার জো রুট। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে হারের পেছনে সরাসরি দূষিত বাতাসকে দোষ না দিলেও পরোক্ষভাবে সেদিকেই ইঙ্গিত ছিল রুটের।

ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘বাতাসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে বলার আমি কেউ না। আমি এর যোগ্যও নই। বাতাসে কী আছে জানি না, তবে আমার এমন অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি।’

শ্বাস কষ্ট হওয়ায় নাকি সঙ্গে ইনহেলার নিয়ে ঘুরছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। যে ভেন্যুতে যত বেশি দূষণ সেখানে নাকি ইনহেলারের ব্যবহারটাও বেড়ে যাচ্ছে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ড দল এই মুহূর্তে আছে আহমেদাবাদে। শনিবার এই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। আকু ওয়েদারের প্রতিবেদন অনুযায়ী আহমেদাবাদের বায়ু দূষণের পরিমাণ এখন ১৪৫ যা বিশেষ শ্রেণির মানুষদের জন্য ক্ষতিকর।

সম্প্রতি বেন স্টোকসের মুখে দেখা গেছে ইনহেলার। দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়কে এমন অবস্থায় দেখে আঁতকে উঠেছেন। সেটাও কিনা বেঙ্গালুরুর মতো শহরে যেখানে কিনা ভারতের বায়ু দূষণ সবচেয়ে কম!

ভারতে বিশ্বকাপের ভেন্যু আছে ১০ টি। এই ১০ শহরের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে বায়ুতে দূষিত পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলক সবচেয়ে কম। কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আকুওয়েদারের তথ্য অনুযায়ী বেঙ্গালুরুতে বায়ু দূষণের মাত্রা ৭৬ ভাগ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিমাপ অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ মাত্রার বায়ু দূষণকে বলা হয় সহনশীল পর্যায়ের। এমন এক শহরে বেন স্টোকসের ইনহেলার দিয়ে শ্বাস নেওয়ার দৃশ্যটা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। যদিও এর চেয়ে বেশি আঁতকে ওঠার দৃশ্য ছিল বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কার কাছে ইংল্যান্ডের হার।

বায়ু দূষণ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই মুহূর্তে দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা ২২২ মাত্রার যা অন্য সব ভেন্যুর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ২১৯ মাত্রা বায়ু দূষণ চেন্নাইয়ে, কলকাতায় ২০৮ ও লক্ষ্ণৌতে ২০০। ২০০ বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণের দূষণ মানে হলো খুবই অস্বাস্থ্যকর। দূষণ কমাতে ম্যাচের পর আতশবাজি বন্ধ করেছে বিসিসিআই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply