ধর্ষণের দায়ে নেপালের সাবেক অধিনায়ক সন্দীপ লামিচানেকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নেপালের একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানার সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট। বুধবার (১০ জানুয়ারি) এ মামলার রায় ঘোষণা করে নেপালের একটি আদালত।
২৩ বছর বয়সী লামিচানেকে এক সময় নেপাল ক্রিকেটের পোস্টার বয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এ লেগ স্পিনারের মাঠের সাফল্যে হিমালয়ের কোলের দেশটির খেলার মর্যাদাও তুলে ধরেছিল।
২০২২ সালে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে একজন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় লামিচানের বিরুদ্ধে। তবে এরপর জামিনে মুক্ত পান তিনি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফেরেন।
কাঠমান্ডু জেলা আদালতের কর্মকর্তা রামু শর্মা এএফপিকে বলেছেন, ‘আদালত তাকে আট বছরের সাজা দিয়েছে।’ জামিনে থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদলতে ছিলেন না নেপালের সাবেক এই অধিনায়ক। তার আইনজীবী সরোজ ঘিমিরে এএফপিকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে এসেছেন লামিচানে। অভিযোগ থাকার পরও জোরালো জনসমর্থন পেয়েছেন নেপাল ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। প্রক্রিয়াগত কারণে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্তে দেরি হয়েছে, যে কারণে এটা শেষ হতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে গেল।
প্রসঙ্গত, ১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালের ২১ আগস্ট লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালা মহানগর পুলিশের কাছে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। ৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত নেপালি লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।