কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। ডি মারিয়াকে বক্সের ভেতরে ফাউল করেন ডেম্বেলে। গোল করতে ভুল করেননি মেসি। কাতার বিশ্বকাপে এটি তার ষষ্ঠ গোল। খেলার ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি ডিফেন্সচেরা পাস দেন ম্যাক অ্যালিস্টারকে। তার থেকে পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে গোল করেন ডি মারিয়া।
রবিবার রাত ৯টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি ফ্রান্সকে। বিরতির আগেই তুলে নেওয়া হয় জিরু ও ডেম্বেলেকে।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে জোর দেয় আর্জেন্টিনা। প্রথম দিকে রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকে ফ্রান্স। ৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম শট নেন ম্যাকঅ্যালিস্টার। শট যায় সরাসরি ফরাসি গোলকিপারের হাতে।
১০ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। দূর থেকে শট নিয়েছিলেন ডি পল। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে হয় কর্নার।
আক্রমণাত্মক খেলে যাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। বিপরীতে ফ্রান্স ছিল অনেকটা নিস্প্রভ। খেলার ১৫ মিনিট পর্যন্ত এমবাপ্পের একটি আক্রমণ বাদে আর কোনও মুভমেন্ট দেখা যায়নি তাদের।
১৭ মিনিট সুযোগ নষ্ট করে আর্জেন্টিনা। দুরন্ত সুযোগ পেয়েছিলেন ডি মারিয়া। কিন্তু তার ডান পায়ের শট বারের অনেক উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২০ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রিকিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রিকিকে জিরুর হেড বাইরে যায়।
ম্যাচের ২২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় ডি মারিয়াকে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। হুগো লরিস ঝাঁপালেন ডান দিকে। ঠান্ডা মাথায় মেসি পেনাল্টি মারলেন তার বাঁ দিকে। এবারের বিশ্বকাপে ষষ্ঠ গোল লিও মেসির। গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে গেলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
গোল করে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ শানায় তারা। ফ্রান্স সেভাবে পায়ে বল রাখতেই পারেনি।
খেলার ৩৬ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে দুর্দান্ত আক্রমণে চোখ জুড়ানো গোল ডি মারিয়ার। মাঝমাঠে বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি ডিফেন্সচেরা পাস দেন ম্যাক অ্যালিস্টারকে। তার থেকে পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে গোল করেন ডি মারিয়া। ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
