মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ছিল বাংলাদেশময়। এদিন ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের বেশি লিড নেয়ার পাশাপাশি আইরিশদের ইনিংসের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে আইরিশরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে ১২৮ রানে, হাতে আছে ৬ উইকেট। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম উভয়েই নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
এর আগে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম, এছাড়াও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান, আউট হয়েছেন ৮৭ রান করে।
এর আগে, টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারে স্কোরকার্ডে ছয় রান যোগ করে আউট হন মমিনুল হক৷ এই বাহাতির উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার কথা থাকলেও সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ম্যাচে আবারো ফেরে বাংলাদেশ।
৪০ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চাপের মধ্য থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালানো শুরু করেন সাকিব ও মুশফিক। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে এই জুটি ৫৬ বলে ৫২ রানের পার্টনারশিপ করেন। শতরানের পার্টনারশিপ স্পর্শ করেন মাত্র ১০৯ বলে। হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর বেলিমের পর দ্বিতীয় জুটি হিসেবে সাকিব-মুশফিক টেস্টে পাঁচবার শতরানের পার্টনারশিপ করলেন।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ফিফটি তুলে নেন মাত্র ৪৫ বলেই। সাকিবের পর ফিফটির দেখা পান মুশফিকও; বল খেলেছেন ৬৯টি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দলীয় ১৯৯ রানে সাকিবের উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ৮৭ রানে আউট হন তিনি। তবে ঠিকই নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। সাকিবের উইকেটের পর মুশির সঙ্গে একটি দারুণ জুটি গড়েন উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আউট হন তিনি।
চা বিরতির পর মুশফিক আউট হন। তবে সাবলীল ভঙ্গিতে ব্যাট করছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজও তুলে নেন নিজের ফিফটি। যার ফলে ৩৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।