বিশ্বজুড়ে ১৭ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েও দাপট কমেনি করোনার। প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে। ভাইরাসটি এরই মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৭ কোটি ৮৩ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে।
সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি ধরা পরেছে প্রায় ২ লাখ মানুষের শরীরে। মারা গেছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি এখন টেনিসি, ক্যালিফোর্নিয়া ও রোহডি আইল্যান্ডে। মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি আইওয়া, সাউথ ডাকোটা ও রোহডি আইল্যান্ডে।
নতুন করে প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে ব্রাজিলে। মঙ্গলবার এক দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজারেরও বেশি রোগী। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
এদিকে, ভাইরাসের নতুন ধরণ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাজ্য জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির সাথে এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশ ভ্রমণ নিষধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র ২৭টি সদস্য দেশ যুক্তরাজ্যের সাথে বিধিনিষেধ সমন্বয়ের চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে।
সংক্রমণ মোকাবেলায় জাপানে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করে আসা পর্যটকদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে, জাপানের নাগরিকরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বড়দিনকে সামনে রেখে জনসমাবেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কোনো বাড়িতেই ১০ জনের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সবাবেশ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভাইরাসের নতুন রুপ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। ফিলিপাইনে যুক্তরাজ্যের সাথে সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বুধবার, প্রেসিডেন্ট রোদ্রেগো দুতার্তের মুখপাত্র এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যের সাথে সাময়িক ভাবে বিমান চলাচল বাতিল করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ এমনটাই জানানো হয়েছে।
এদিকে অ্যান্টার্কটিকাতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এত দিন এখানে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছিল না। চিলির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের বার্নাডো ও’হিগিনস গবেষণাকেন্দ্রে ৩৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
ভারতে আগের তিনের তুলনায় মঙ্গলবার শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এক দিনে শনাক্ত হয়েছে আরও ২৩ হাজার মানুষ। সব মিলে দেশটিতে ভাইরাসটি হানা দিয়েছেন ১ কোটি ৯৯ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ।