fbpx

মেসি চিকেন, মেসি বার্গার, মেসি বিয়ার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মেসি বার্গার বা মেসি বিয়ার খেতে চান? তাহলে আপনাকে যেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে। কারণ সেখানে এখন চলছে লিওনেল মেসির রাজত্ব।

‘আমি ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছি’—মেসির এক ঘোষণাতেই যেন বদলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল। প্রায় তিন মাস ধরে মাঠ ও মাঠের বাইরে মেসি-ম্যানিয়ায় উন্মাতাল হয়ে আছে মার্কিন মুলুক।

মেসির হাত ধরে ইন্টার মায়ামি পেয়েছে নিজেদের প্রথম শিরোপার দেখা। নিশ্চিত করেছে আরেকটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল। এমনকি মেজর লিগ সকারেও (এমএলএস) তলানি থেকে উঠে এসে প্লে–অফ নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখছে মায়ামি।
শুধু মাঠে নয় মাঠের বাইরের পরিস্থিতি আরও উন্মাতাল। পুরো দেশেই পড়েছে মেসি-ইফেক্ট।

মেসি চিকেন, মেসি বার্গার, মেসি বিয়ার

কদিন আগেও মায়ামির গোলাপি রঙের যে জার্সি ছিল অতি সাধারণ, এখন সেটি যেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পোশাক হয়ে উঠেছে। এক জরিপ বলছে, মিয়ামির প্রতি ২০ জনে ১২ জন প্রতিদিন কোনো না কোনো সময় মিয়ামির জার্সি পড়েন।

সব জায়গাতেই দেখা মিলছে মায়ামির ১০ নম্বর জার্সিতে মেসির মুখ। দানবীয় দেয়ালচিত্র থেকে শুরু করে, বিলবোর্ড, গণপরিবহন, টেলিভিশন বিজ্ঞাপন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, দোকানে এবং ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রির স্থানগুলোয় ঠাঁই পেয়েছে মেসিকেন্দ্রিক জিনিসপত্র।

এমনকি সমুদ্রসৈকতের বারগুলোয় বিক্রি হচ্ছে মেসি পানীয়, দ্য হার্ড রক ক্যাফেতে বিক্রি হচ্ছে মেসি চিকেন স্যান্ডউইচ ও মেসি বার্গারও। এমনকি স্থানীয় বিয়ার বিক্রেতারাও এখন ক্যানে করে বিক্রি করছেন মেসি নামের বিয়ার। মায়ামির জার্সির আদলে বানানো ক্যানগুলোর ওপরে লেখা জিওএটি (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) ১০ (মেসির জার্সি নম্বর)।

মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি নিয়ে ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ইতিহাস ও আফ্রিকান-আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক জার্মেইন স্কট বলেছেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই যেন এক রাতের মধ্যে সব বদলে গেছে। এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি।’

মেসি মিয়ামিতে আসার পর মাঠে যেনো তারকাদের ঢল নেমেছে। কিম কার্ডাশিয়ান, লেব্রন জেমস, সেরেনা উইলিয়ামস, পাফ ড্যাডি, ডিজে খালেদ, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, প্রিন্স হ্যারি ও সেলেনা গোমেজদের মতো তারকারা মেসির খেলা দেখতে মাঠে গেছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply