প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস টিকার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আজ যুক্তরাজ্যে। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ‘ফাইজার’ ও ‘বায়োএনটেক’ উদ্ভাবিত এ টিকার প্রয়োগ করা হবে দেশটির নাগরিকদের ওপর। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক টিকা প্রয়োগের প্রথম দিনটিকে ‘ভি-ডে’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
কেননা পুরো বিশ্বের নজর এখন তাদের দিকে। মার্কিনী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, এদিন সারা বিশ্বের চোখও থাকবে যুক্তরাজ্যের দিকে।
প্রথমে এই টিকার প্রয়োগ করা হবে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর। কেননা এরাই দেশের সম্মুখসারির যোদ্ধা। এরপর প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ও কেয়ার হোমের কর্মীদের।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা টিকাদান শুরু করবেন।
বিবিসি বলছে, প্রথম ধাপে প্রায় চার লাখ মানুষকে এ টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য দেশটির সরকার চার কোটি টিকার অর্ডার করেছে।
আপাতত এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০টি হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু হাসপাতালে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী সিমন স্টিভেনস এই কার্যক্রমকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বিবিসি দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে বলেছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসুস্থতার মাত্রা ও বয়স অনুযায়ী নয়টি দলে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কেয়ার হোমের কর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী সব প্রবীণ নাগরিক এবং স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ কর্মী। আর বাকি সাতটি দলে আছেন ষোলো থেকে পঁচাত্তরের বেশি বয়সী নাগরিকেরা।
প্রসঙ্গত, গেল মঙ্গলবারই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেক তৈরী ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানিয়েছে, ভাইরাসটি প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই ভ্যাকসিন এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।