fbpx

‘শচীন টেন্ডুলকার’-নামটাই একটা বিশেষণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

“এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ধীরগতির, অথচ সবকিছুর চেয়ে অর্থবহ হাফ-সেঞ্চুরি”… মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে ১০০ কোটি মানুষের প্রত্যাশা মিটানোর দায়িত্ব কাঁধে নেয়া মানুষটার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরও একবার ৩০ হাজার দর্শকের প্রত্যাশা মেটাতে হয়েছে জন্মদিনের দু’দিন আগেই। সেখানেই কেক কাটতে কাটতে শচীন টেন্ডুলকার স্মরণ করছিলেন জীবন পাতার পঞ্চাশতম বসন্তের কথা।

‘শচীন টেন্ডুলকার’-নামটাই একটা বিশেষণ

দুই যুগের পথচলার অমর মহাকাব্য লেখা শচিন দশ বছর আগে যেদিন ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন, সেদিন ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, “হি হ্যাজ স্ক্রিপ্টেড দ্য গ্রেটেস্ট এভার ক্যারিয়ার।” অথচ বয়স চল্লিশে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই কিংবদন্তি বয়স পঞ্চাশে এসেও ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরে আছেন, কিংবা ক্রিকেটই এখনো তাঁকে আঁকড়ে পড়ে থাকে। ক্রিকেট আর শচীন টেন্ডুলকার যে একে অপরেরই সমার্থক শব্দ।

‘শচীন টেন্ডুলকার’-নামটাই একটা বিশেষণ

২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দিনে অশ্রুসিক্ত চোখে দর্শকের উদ্দেশ্যে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছিলেন, “বন্ধুরা একটু শান্ত হোন, নইলে আমি আরও আবেগপ্লুত হয়ে যাবো।” সেদিনও শচীন ভক্তদের থামিয়ে রাখা যায়নি, যায় না এখনও। ক্রিকেটের নামেই চব্বিশটা বছর লিখে দেয়া শচীন বয়স পঞ্চাশে এসেও ক্রিকেটেই জীবনযাপন করেন। ভক্তরাও তাঁদের ক্রিকেট ঈশ্বরের জন্মদিন পালনে আয়োজনের কমতি রাখে না। এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি বা হতে পারে? হয়তো শচীনকে পাওয়া ক্রিকেটেরই বড় প্রাপ্তি…

‘শচীন টেন্ডুলকার’-নামটাই একটা বিশেষণ

সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হাঁকানো থেকে শুরু করে অসংখ্য রেকর্ডের মালিকের পরিচয় শুধু ক্রিকেটেই কি সীমাবদ্ধ থাকতে পারে? ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর এক বিজ্ঞাপনে শচীন বলেছিলেন, “আই প্লে ফর ইন্ডিয়া, নাউ মোর দ্যান এভার।” তার কয়েক সপ্তাহ পরেই আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করে জানিয়েছিলেন, দেশের মনোবল বাড়িয়ে তুলতে এই সামান্য কাজটাই তিনি করতে পারেন। ক্রিকেটের ঈশ্বরের কাছে সেদিন যা সামান্য মনে হয়েছিল, তা তো ববাবরই অসামান্য! এই-ই হলেন শচীন টেন্ডুলকার, যিনি চুম্বকের মতোই গোটা ভারতকে এক করে রাখে; এক করে রেখেছেন এখনো।

ক্রিকেটের জন্য, ক্রিকেটকে ভালোবেসে ৩৪ বছর আগে ভারতের জার্সিতে যেই জার্নি শুরু করেছিলেন, ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর এত বছর পর এসেও ক্রিকেট ঈশ্বরের কোনো কীর্তিই এখনও ম্লান হয়নি। যিনি ক্রিকেটের নক্ষত্র হতে গিয়ে নিজেই মহাকাশ হয়ে গেছেন, সেই ক্রিকেটের সেই মহানায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply