fbpx

শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ পড়ায় হতাশ রাহী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ছিলেন নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দলে, সাউথ আফ্রিকা সিরিজেও তাই। তবে, মূল একাদশে খেলার সুযোগ মেলেনি আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর। আর ঘরের মাঠে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের ১৬ সদস্যের দলে তাঁকে রাখাই হয়নি। এ নিয়ে বেজায় হতাশ ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার।

রাহী শেষবার খেলেছিলেন চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে এরও আগে মিরপুরে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। বারবার দলের সাথে থেকেও মূল একাদশে জায়গা না পাওয়া এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে ‘ক্রিকবাজ’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “মিরপুরে গত দুই টেস্টে এই পেসে বল করেই আমি ১০ উইকেট নিয়েছি। আমি মনে করি না, এখানে পেস বোলিং নিয়ে কোনো সমস্যা। এখানে অন্য কোনো ব্যাপার আছে।”

তিনি আরো বলেন, “এই পেসে আমি ১৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছি। হঠাৎ কোথা থেকে এই উপলব্ধি হলো বুঝতে পারছি না। আজকাল শুধু পেস দিয়েই কাজ হয় না, সুইংও দরকার। গ্যারি কার্স্টেন ক্রিকেট একাডেমিতে (কেপটাউনে) আমাদের ট্রেনিংয়ের সময় একজন পেস বোলিং কোচ বলেছিলেন যে, আমার দ্রুত বল করার দরকার নেই। ঘণ্টায় ১৩০কি.মি. গতিতে বল এবং সুইং করাতে পারলে, এটি ঘণ্টায় ১৩০কি.মি.-তে বল করার মতোই কার্যকর হতে পারে।”

তবে, জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের দাবি, তারা মাঝারি ফাস্ট বোলারদের পরিবর্তে দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার বেছে নিতে চেয়েছিলেন কারণ তারা যেন হোম এবং অ্যাওয়ে উভয় জায়গায় উন্নতি করতে পারে। আর সে জন্যই, ১৬ জনের দলে পাঁচ পেসার থাকলেও জায়গা হননি রাহীর।

এ বিষয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার ‘ক্রিকবাজ’-কে জানান, “আমরা একটি নতুন ধারা (প্রকৃত ফাস্ট বোলারদের নিয়ে) শুরু করার দিকে নজর দিচ্ছি। আগে আমরা সাহস করতে পারিনি কারণ আমাদের কাছে এমন পেসার ছিল না কিন্তু এখন আছে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করার জন্য আমাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ফাস্ট বোলার থাকা দরকার। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এখানে ভালো করতে চাইলে আমাদের এমন বোলার দরকার যারা প্রতি ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৪০ কি.মি. গতিতে বল করতে পারে।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply