fbpx

২০২৩ সালে চরম খাদ্যসংকটে পড়বে বিশ্ব: জাতিসংঘ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২৩ সালে গোটা বিশ্বে ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে, এমনটি পূর্বাভাস জাতিসংঘের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রধান ডেভিড বিস্ল জানান, খাবারের অভাব এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে শুধু দুর্ভিক্ষই হবে তা নয় বরং এর জেরে বিভিন্ন দেশে বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।

পরিস্থিতি এড়াতে আর্থিক সাহায্য করতে আরব দুনিয়াসহ বিশ্বের ধনকুবেরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যদি কয়েক দিনের মুনাফাও এই খাতে দেন, তা হলেই সংকট অনেকটা কাটানো সম্ভব।

সম্প্রতি এক আলোচনায় বিস্লে বলেন, সাড়ে পাঁচ বছর আগে যখন তিনি জাতিসংঘের খাদ্যসংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্ব নেন, তখন পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৮ কোটি মানুষের ঠিকমতো খাবার জুটত না। ভাবা হয়েছিল, সেই সংখ্যা কমিয়ে আনা যাবে, অথচ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ কোটি। মূলত জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গত কয়েক বছরে বিশ্বে অভুক্ত মানুষের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য জোগায়, অথচ যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি প্রায় পুরোটাই বন্ধ। রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম সার রপ্তানিকারী এবং অন্যতম বড় শস্য উৎপাদক, কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে তাদের পণ্য ঠিকমতো আসছে না। সার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। ফলে অন্যান্য দেশে শস্য উৎপাদন কমে গেছে। আবার ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অতিরিক্ত গরম এবং বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন।

এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব সারের সরবরাহ ঠিক করা, শস্য বণ্টনব্যবস্থা মজবুত করা ও দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে জাতিসংঘ। এজন্য বিশ্বের ধনীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো অর্থ দিয়েছে।

তবে বিশ্ববাজারে গত পাঁচ মাসে খাদ্যমূল্য কিছুটা কমেছে। আগস্ট মাসে এফএওর খাদ্য মূল্যসূচক ১৩৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়ালেও গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়তি। এ বছর খাদ্যমূল্য বাড়লেও স্বল্পতা নেই। কিন্তু আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যসংকট দেখা দেবে বলে শঙ্কা প্রকশ করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply