fbpx

২০ বছর পর সাফ ফুটবলে মালদ্বীপকে হারালো বাংলাদেশ    

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে কার্যত বাঁচা-মরার ম্যাচে খেলতে নামা বাংলাদেশ প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও দ্রুত দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ০-২ গোলে হারের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে লাল-সবুজরা।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে সবশেষ হারিয়েছিল ২০০৩ সালে, ২০ বছর পর আজ আবার তাদের হারাল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ২০০৯ সালের পর সাফের সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, এবার সুযোগ তৈরি হয়েছে সেমিতে ওঠার। আজ মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে লেবানন ও মালদ্বীপের সঙ্গে সমান অবস্থানে রয়েছে। শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

১৭ মিনিটে মালদ্বীপ হামজার গোলে লিড নিলেও তাতে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের সেই অর্থে দায় ছিল না।

হামজার ঐ আচমকা শট ছাড়া পুরো ম্যাচে বাংলাদেশকে ভীতি ছড়ানোর মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি মালদ্বীপ। উল্টো পুরো ম্যাচজুড়ে নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলেছে জামালরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে রাকিব হোসেন গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন।

বিরতির পরও ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতে থাকে। কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা মজিবুর রহমান জনি, মোরসালিন ও ইব্রাহিমকে নামান। এই তিনজন নামার পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। ৬৭ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। এই গোলেরও যোগানদাতা তপু বর্মণ। কর্নার থেকে তার নেওয়া হেড জটলার মধ্যে পড়লে তারিক কাজী কয়েক দফা চেষ্টা করে বল জালে পাঠান।

পিছিয়ে পড়ার পর সমতা আনার মতো আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মালদ্বীপ। বাংলাদেশের রক্ষণ সেভাবে ভাঙতেই পারেনি দ্বীপরাষ্ট্রটি। তাদের ইতালিয়ান কোচ কয়েকটি বদল করলেও এতে ম্যাচে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো বাংলাদেশ এই ম্যাচের মাধ্যমে নতুন তারকা খুঁজে পেয়েছে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মোরসালিন আহমেদ দুর্দান্ত গোল করেছেন। ইনজুরি সময়ে তিনি বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। এত সুন্দর ফিনিশিং অনেকদিন পর দেখা গেল জাতীয় দলে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply