১৭ দিনের ক্রীড়াযজ্ঞ শেষ, পর্দা নেমেছে অলিম্পিকের। ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’ -সেই প্রবাদ মেনে শেষটা ভালোমতো করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিয়ানরা। টোকিও অলিম্পিকের শেষদিন পর্যন্ত চলেছে শীর্ষস্থানের লড়াই। একটা স্বর্ণপদক বেশি জিতে পদক তালিকায় সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রিও অলিম্পিকের মতো এবারও সবার উপরে থেকেই শেষ করল যুক্তরাষ্ট্র। ৩৯টি স্বর্ণ জিতে সবার উপরে থেকে শেষ করেছে তারা, একটি স্বর্ণ কম নিয়ে দুইয়ে চীন।
টোকিও অলিম্পিকের প্রথমদিন পদকবঞ্চিত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত দশকে যেটা প্রথমবার। তখন কে জানতো এই যুক্তরাষ্ট্রই আসর শেষে থাকবে সবার উপরে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সাফল্যের পেছনে মূল অবদান সাঁতারু কেলেব ড্রেসেলের, একাই জিতেছেন পাঁচটি স্বর্ণ। শেষদিনের আরেক চমক, নারীদের ভলিবল। সেখানে অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথমবার স্বর্ণ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। ফাইনালে ব্রাজিলকে তারা হারিয়েছে ৩-০ সেটে।
ভলিবল থেকে বাস্কেটবল, ইতিহাস গড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা। টানা সাতবার নারীদের বাস্কেটবলে স্বর্ণ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জাপান, স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের জয় ৯০-৭৫ পয়েন্টে। ১৯৭৬ সালের পর অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা সোনা জিতেছে মোট নয়বার।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটা স্বর্ণ বাড়তে পারতো। তবে বক্সিংয়ের সুপার হেভিওয়েট ইভেন্টে স্বর্ণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্দ তোরেজ। ফাইনালে তাকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন উজবেকিস্তানের বাখোদির জালোলভ। এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের ফ্রেজার ক্লার্ক ও কাজাখস্তানের কামশিবেক কুনকাবায়েভ।
ম্যারাথনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণ জিতলেন কেনিয়ার এথলিট ইলিউড কিপচোগে। এ ইভেন্টে রুপা জিতেছেন নেদারল্যান্ডসের আবদি নাগিই। ব্রোঞ্জ বেলজিয়ামের বশির আবদি। তৃতীয় প্রতিযোগী হিসেবে টানা দুই ম্যারাথনে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব কিপচোগের।
এর আগে, ১৯৬০ সালে রোম আর ১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে ম্যারাথনে স্বর্ণ জিতেছিলেন ইথিওপিয়ার আবেদে বিকিলা। এরপর পূর্ব জার্মানির ভালদামার সিয়েরপিনস্কি ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিয়েল আর ১৯৮০ সালে মস্কো গেমসে স্বর্ণ জিতেছিলেন।